ইউফ্রেটিস ও
টাইগ্রিস নদীর মধ্যবর্তী স্থান, মেসোপটেমীয়ার দক্ষিণাঞ্চল ও ইউফ্রেটিস নদীর উঁচু
সমতল ভুমিতে ব্যাবিলনীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। ব্যাবিলনীয় সভ্যতার পূর্ণ বিকাশ ঘটেছিল
হাম্বুরাবির শাসনামলে। ব্যাবিলনের বিখ্যাত রাজা হাম্বুরাবি দেশবাসীকে কঠোর
নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য একটি আইন প্রণয়ন করেন যা ‘The code of hamburabi’
নামে পরিচিত। বস্তুত
ব্যাবিলনীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে ২৮২ টি ধারা বিশিষ্ট এই ‘The code of hamburabi’ ।খ্রিস্টপূর্ব
১৭৯২-১৭৫০ অব্দ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে রাজা হাম্বুরাবি আইনগুলো সংকলন করেন।
১ সুতীক্ষ্ণ আইন জ্ঞানঃ হাম্বুরাবির আইনের নীতি ছিল tax tatiouis । সুতীক্ষ্ণ আইন জ্ঞান হচ্ছে আইনের সরাসরি
প্রয়োগ। ঐতিহাসিকের মতে, হাম্বুরাবির আইনে এটি ছিল সবচেয়ে কঠোর। হাম্বুরাবি
প্রতিশোধমূলক আইন প্রবর্তনের পক্ষপাতী ছিলেন।
২ শ্রেণী বিভক্ত সমাজঃ হাম্বুরাবির যুগে ব্যাবিলনে দুই শ্রেণীর লোক
বাস করতো। রাজা একক মাত্র এক শ্রেণী অন্য সব প্রজা আর এক শ্রেণী। অনেকে তিন
শ্রেণীর কথাও বলেছেন; রাজা, প্রজা, অভিজাত। এই বিভিন্ন শ্রেণীর ক্ষেত্রে ভিন্ন
ভিন্ন আইন প্রচলিত ছিল।
৩ নারীদের প্রতি সম্মানঃ হাম্বুরাবির আইন সংহিতায় নারীদের অধিকার ও
নিরাপত্তার কথা উল্লেখ আছে। নারীগণ ভূসম্পত্তির অধিকারি হতো এবং ব্যাবসা বাণিজ্যে
অংশগ্রহণ করতে পারতো। তাছাড়া বিবাহ পদ্ধতি এবং বিবাহবিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়ে আইন
ছিল। যদি কেউ নারীদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতো তবে উক্ত মহিলা আদালতে শরনাপন্ন হতে
পারতো।
৪ ব্যাবসায় বাণিজ্যেঃ হাম্বুরাবির আইন সংহিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ব্যাবসায় বাণিজ্যে
সম্প্রসারনের জন্য সরকারি পর্যায়ে প্রচেষ্টা। তার আইন সংহিতায় Business code রয়েছে; যাতে ব্যাবসায় বানিজ্য সম্পর্কিত আইন
সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে।
দারুন
উত্তরমুছুন